Monday, June 30, 2025

‘আলেপের বিরুদ্ধে বন্দির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে’

আরও পড়ুন

সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ‍্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপ উদ্দিন অসংখ্য গুম, খুন, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এক আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার (আসামির) বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেন আলেপ উদ্দিন, এর তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আলেপ উদ্দিন অনেক ব্যক্তিকে অপহরণ করে বছরের পর আটকে রেখেছিল। নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছিল। চোখ বেধে রেখে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে এবং উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে অনেককে নির্যাতন করেছিল।

আরও পড়ুনঃ  সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র জনতার মুখোমুখি দাঁড় না করানোর আহবান সাবেক সেনাপ্রধানের

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আলেপকে নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজনের ওই ফেসবুক পোস্টে লেখা, গুম হওয়া এক স্বামী বলছেন, পবিত্র শবেকদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।

সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

আরও পড়ুনঃ  কৃষি ব্যাংকের কক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নিচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন আলজাজিরার আরেক সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার নতুন মোড়, ২ সহযোগী গ্রেফতারে জানা গেল আসল তথ্য

এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ