Monday, June 30, 2025

গাজীপুরে দুই শি*শুকে কু*পিয়ে হ*ত্যা আসল হ*ত্যাকারী পরিচয় মিলল যেভাবে

আরও পড়ুন

গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় মালিহা আক্তার (৬) ও আবদুল্লাহ বিন ওমর (৪) নামের দুই ভাই-বোনকে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে মা সালেহা বেগম কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে সালেহা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি বলে সাংবাদিকদের জানায় পুলিশ।

টঙ্গী পুর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, নিহত মালিহা আক্তার ও আবদুল্লাহ বিন ওমরের বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে আরিচপুর জামাইবাজার রুপবানের টেক এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন বাতেন। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  নারীসহ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আটক! যা জানা গেল

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি, কেন বা কী কারণে দুই সন্তানকে তাদের মা হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

পুলিশ জানায়, যেই ফ্ল্যাটে বাতেন ভাড়া থাকতেন তার আশপাশে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এসব ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার আগে পরে তাদের ঘরে বা ফ্ল্যাটে সালেহা বেগম ছাড়া আর কেউ যাতায়াত করেননি। ঘটনার পর সালেহা নিজেই পাশের বাড়ি থেকে তার দুই দেবরকে ডেকে নিয়ে আসেন। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্ধ্যায় তাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় সালেহার হাতে কাটা দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। এক পর্যায়ে মধ্যরাতে সালেহা বেগম তার দুই সন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।

আরও পড়ুনঃ  ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী

সালেহার মা শিল্পি বেগম জানান, সালেহা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। আব্দুল্লাহ জন্ম হওয়ার পর থেকে তার এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। মাথায় সমস্যা হলেই সালেহা একা একাই স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতেন। তবে তিনি কখনও অস্বাভাবিক আচরণ করেননি।

এদিকে পুলিশ জানায়, মাইগ্রেনের সমস্যা ছাড়া সালেহার আর কোনো সমস্যা আছে কিনা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে আরও পরিষ্কার হওয়া যাবে। পুলিশ এখন তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ