Saturday, July 5, 2025

‘টিভিতে জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া দেখলে দস্যুরা আরও অনমনীয় হয়’

আরও পড়ুন

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ “এমভি আবদুল্লাহ” ও এর নাবিকদের জিম্মি হওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে “অতি গুরুত্ব” দেয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে কী দেখানো হচ্ছে, সেটা কিন্তু তারা (জলদস্যু) দেখে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সবগুলো টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। যখন এই বিষয়টাকে অতিগুরুত্ব দেওয়া হয়, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন ওরা দেখে, তখন হাইজ্যাকারদের অবস্থান আরও অনমনীয় হয় এবং হচ্ছে। এটার নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট (নেতিবাচক প্রভাব) হচ্ছে।”

আরও পড়ুনঃ  হাতিরপুলে আগুন লাগা ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার ৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য তো নাবিকদের এবং জাহাজটাকে মুক্ত করা। সুতরাং আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীলভাবে যদি আচরণ করি, তাহলে এই পরিস্থিতি উত্তরণ সহজ হবে।”

সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে, সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে, সুস্থভাবে নাবিকদেরকে ও জাহাজটাকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।”

আরও পড়ুনঃ  বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে শিবির ও হিযবুত তাহরীর, অভিযোগ পাঁচ শিক্ষার্থীর

এদিকে, শুক্রবার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র অবস্থান পরিবর্তন করেছে। আগে নোঙর করা স্থান থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলদস্যুরা তাদের এলাকায় নিয়ে নোঙর করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজএম ভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষের পাশাপাশি সরকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  দস্যুদের নির্দেশ ছাড়া ঘাড় ফেরাতে পারছেন না নাবিকরা

এর আগে ২০১০ সালে একই মালিকের জাহাজ এমভি জাহাজ মনি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। মালিক পক্ষের উদ্যোগে দীর্ঘ তিন মাস পর ২৬ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করা হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ