Tuesday, July 1, 2025

দাফনের ২৯ দিন পর সাব্বিরের লাশ উত্তোলন

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বিরের লাশ দাফনের ২৯ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তার লাশ কবর থেকে তোলা হয়।

এসময় শোকে বাকরুদ্ধ তার বাবা আমির হোসেন নিষ্পলক তাকিয়ে ছিলেন। তার মা মায়া বেগমসহ স্বজনদের আহাজারিতে আরও ভারী হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশে অবস্থিত মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থান থেকে নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  এজলাসে নেয়ার পর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন দীপু মনি

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে সাব্বিরের লাশ উত্তোলন করা হয়।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সাব্বিরের নিহতের ঘটনায় তার বাবা আমির হোসেন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ আসামি নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি

মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর কোর্ট) বিচারক আবু নোমান কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।

বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের নির্দেশে তার কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক জানান, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লাশটি উত্তোলন করা হয়। মামলার তদন্তে স্বার্থে। ময়নাতদন্তের পর ফের দাফন করা হবে।

নিহত সাব্বির সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। সেই দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর লাশ আনা হয় নানার বাড়ী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) মনির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ীতে। একদিন পর তার দাফন হয় মনির উদ্দিন পাটোয়ারী জামে মসজিদের কবরস্থানে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে চাননি, আমরা জোরাজুরি করেছি : জয়

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে সাব্বিরসহ ৪ শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুলিতে নিহত হয়। ওইদিন আরও শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ