Monday, June 30, 2025

দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান হচ্ছে: জিএম কাদের

আরও পড়ুন

দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থান হচ্ছে, নব্য ফ্যাসিবাদের দোসররা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, পুলিশ কিছুটা বিএনপি, কিছুটা জামায়াতের কথা শুনে হা-হুতাশ করছে। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন দিলে সবাই পিটিয়ে-পাটিয়ে নির্বাচন করবে। এমন নির্বাচন বৈধতা পাবে না। সকল সমস্যা সামধানের জন্য একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। সরকারকে বৈধ করতেই সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।

এ সময় রক্ত দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে বাধা আসবে সেখানেই রুখে দিতে হবে। প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, মিডিয়া হাউজ থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবখানে নব্য ফ্যাসিবাদ দখল করছে, চাঁদাবাজি করছে।

আরও পড়ুনঃ  অনার্সে প্রথম স্থান, ঢাবির সেই শিবির নেতার মাস্টার্সে ফল সিজিপিএ ৪-এ ৪

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা সবকিছু হাতে নিয়েই থাকতে পারল না— আপনারা কত দিন থাকতে পারবেন? যাদের নির্বাচন থেকে বাদ দিবেন— তারা ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবে? দেশে স্থিতিশীলতা আসবে কেমন করে? ভালো নির্বাচন দিতে হবে, সবাইকে সাথে নিয়েই চলতে হবে। দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ ভাবে জাতিকে চলতে হবে।

সবাই মিলে আধাপেট খেয়ে হলেও দেশকে গড়তে হবে। আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম, বর্তমান সরকার জাতিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। যেন দেশের অর্ধেক লোক বাদ দিয়ে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  উপজেলায়ও ‘বর্জন’ কৌশলে বিএনপি

ফ্যাসিবাদ থেকে যারা শিক্ষা নিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদ হয়েছেন, আপনাদেরও পতন হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা মারতে আসবে, পুলিশ তাদের সহায়তা করবে। তারপরও প্রতিবাদ করতেই হবে। নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ লোক প্রতিবাদ করবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল, তাদেরকে লাঙ্গল প্রতীক দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ষড়যন্ত্রকারীদের আবেদন সাদরে গ্রহণ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের যে ভদ্রলোক ষড়যন্ত্রকারীদের আবেদন গ্রহণ করেছেন, তিনি নির্বাচনে আমার বিপক্ষে কারচুপি করতে চেয়ে ধরা পড়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এখন সেই লোকটি আমার বিরুদ্ধ লেগেছেন। আমরা যেন কাউন্সিল করতে না পারি— সেজন্য আমাদের কোন হল ভাড়া দেয়া হচ্ছে না। কাউন্সিল করতে না পারলেই আমাদের বাতিল করতে পারবে। এই পলিসিতে ষড়যন্ত্র করছে তারা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ