Monday, June 30, 2025

যশোরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান

আরও পড়ুন

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কাউকে অবশ্য আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশের দাবি, দলীয় পরিচয়ে কোনো নেতার বাড়িতে অভিযানে যায়নি তারা। বিভিন্ন মামলার আসামি ধরাসহ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এদিকে, দিনদুপুরে পুলিশি বহর নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে অবস্থান ও অভিযানের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। অভিযানের চলাকালে অনেক বাড়ির সামনে উৎসুক জনতাকে ভিড় করতেও দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানাল পাকিস্তান

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথমে তারা যায় শহরের কাঁঠালতলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়িতে। যদিও ওই বাড়িটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয়।

ওই ঘটনার পর থেকে শাহীন চাকলাদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িটিতে আর দেখা যায়নি। বাড়িটির সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে চলে যায়।

এরপর যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের বাসায় যায় পুলিশের দলটি। সেখান থেকে শহরের কদমতলায় অবস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়িতে যায়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চলে আসে। এ বিষয়ে জুয়েলের ভাবী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘বাসায় পুলিশ এসে জুয়েলের খোঁজ নেয়। আমরা বলি, সে অনেক আগে থেকেই বাড়িতে নেই।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

তারপর পুলিশ চলে যায়।’ এরপর কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুল ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানেও কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি তারা।

যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘দলীয় পরিচয়ে কারও বাড়িতে অভিযান চালানো হয়নি। বিভিন্ন মামলার আসামি আটক করতে অপরাধ ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচনে এসে জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছে: চুন্নু

বিশেষ করে মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, বিভিন্ন মামলার আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু আওয়ামী ঘরানার লোকজনের বাড়িতে অভিযান চলছে—এমনটি নয়। চলমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেটগুলোর দিকেও নজরদারি রয়েছে পুলিশের।

সুনিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদে বিরুদ্ধে এ অভিযান চলছে।’ তবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, যশোরসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করছেন।

গতকাল (শনিবার) ঝটিকা মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে (আওয়ামী লীগের) নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পুলিশের এই অভিযান।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ