Tuesday, July 1, 2025

সভায় ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন’ করার কথা বলায় হট্টগোল

আরও পড়ুন

রংপুর বিভাগের ৮ জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৫-২৬ চলাকালে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করার আলোচনাকে কেন্দ্র করে তুমুল হইচই ও বাগবিতণ্ডা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর আরডিআরএস মিলনায়তনে আলোচনাকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।

আলোচনাকালে রংপুর মহানগর বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলা ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি ব্যবসা করেছে। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ ও সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  আয়নাঘরে নওশাবার সঙ্গে যা করা হয়েছিল, বেরিয়ে এলো চঞ্চল্যকর তথ্য

এ সময় অপর বিএনপি নেতা বাবলু দাঁড়িয়ে এসব বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা, হইচই, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও একে অপরের প্রতি চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জের ছুড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা।

এ সময় বিএনপি নেতা কাওছার জামান মাইক নিয়ে অপর বিএনপি নেতা বাবলুকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমার বক্তব্য আমি দেবো, ফাইজলামি করতে আসা হয়েছে এখানে।’

বেশ কিছুক্ষণ ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় এ সময় সভাস্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং সভার কার্যক্রমও ব্যাহত হয়। রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজ ব্যবসায়ী মিঠুসহ অন্য ব্যবসায়ী নেতাদেরকে দুই পক্ষকে নিবৃত করতে দেখা যায়। অন্যদিকে সভা মঞ্চে মাইক নিয়ে একজন নারী সবাইকে সহনশীল হওয়ার জন্য আহ্বান জানাতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  উড়ন্ত বিমানের দিকে ফুটবলে কিক যুবকের! যা জানা গেল ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে

তিনি বলছিলেন, ‘এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয় উপস্থিত আছেন, অতিথির সম্মানে সবাই সহনশীল হোন।’

পরে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আলোচনা সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বাজেটে অর্থ বরাদ্দে চরম বৈষম্যসহ নানান অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

রংপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আকবর আলী প্রাক বাজেট বিষয়ক আলোচনা সভায় লিখিতভাবে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন সমস্যা সংবলিত ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

সেখানে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা নিজেদের অর্থে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেন বলেই অনেকের কর্মসংস্থান হয়। তাদের দেওয়া ট্যাক্সে আমাদের মতো সবার বেতন হয়।’

আরও পড়ুনঃ  ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে এমপি আনারকে খুন করান বন্ধু

তিনি রংপুর বিভাগের কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘তারা যে বিপুল পরিমাণ ফসল উৎপাদন করেন তা এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অনেক জেলার চাহিদা পূরণ করে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ