Monday, June 30, 2025

শাপলা গণহ*ত্যার প্রস্তুতি টের পেয়ে যে পোস্ট দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া

আরও পড়ুন

২০১৩ সালের ৫ মে গভীর রাত। ঢাকার শাপলা চত্বরের মঞ্চে আগুনঝরা বক্তব্য দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাখো নেতাকর্মীর জমায়েত। চারপাশ ঘিরে আছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। অবস্থানকারীদের বারবার সরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে হ্যান্ডমাইকে। হঠাৎ বিদ্যুতের আলো নিভে গেল। চারপাশে ভুতুড়ে অন্ধকার।

এর মধ্যেই তিন বাহিনীর সদস্যরা গুলি আর কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করেন। থেমে থেমে ভেসে আসছিল সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ। প্রায় ১০ মিনিট ধরে এমন পরিস্থিতির এক পর্যায়ে মঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে এগোতে শুরু করেন শাপলা চত্বরের দিকে। সৃষ্টি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির।

আরও পড়ুনঃ  গাজীপুরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী পলাতক

২০১৩ সালের আজকের এইদিনে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের উপর যে নির্মম গণহত্যা চালানো হয়, তার ঠিক আগ মুহূর্তে ফেসবুকে পোস্ট করে সতর্ক করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শাপলা গণহত্যা দিবসে তার সেই পুরনো ফেসবুক স্ট্যাটাস আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সেই পোস্টটি এখন ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অসংখ্য মানুষ এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন, বলছেন, “শাপলা চত্বরের সেই গণহত্যা আমরা ভুলিনি, ভুলবো না। বাংলার মাটিতে এর বিচার অবশ্যই হবে ইনশায়াল্লাহ।’’

আরও পড়ুনঃ  বরিশালে গায়েহলুদের কনেকে বহিরাগতের চুমু, ভেঙে গেল বিয়ে

২০১৩ সালের ওই পোস্টে বেগম খালেদা জিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়,, ‘‘শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের। বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছে অনেক আগে। তথ্য জগত থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে সমাবেশস্থল। গণহত্যার মঞ্চ কি তাহলে প্রস্তুত? এখন খালি হত্যাকারীদের নামার পালা? আওয়াজ তুলুন! সবাইকে জানান!’’

উল্লেখ্য, একযুগের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সেই বিভীষিকাময় রাতের কঠিন স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে হেফাজতের নেতাদের মধ্যে। তারাই সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছেন লোমহর্ষক বর্ণনা।

আরও পড়ুনঃ  এমনভাবে পুড়েছে যে চেনা যাচ্ছিল না, ১১ দিন পর মরদেহ হস্তান্তর

ভয়ঙ্কর সেই স্মৃতিচারণ করে তারা লিখেছেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন সিকিউর শাপলা’র সেই বিভীষিকাময় রাতের কথা চিন্তা করে এখনো আঁতকে ওঠেন তারা। সেদিন নিজেদের চোখে দেখা সহযোদ্ধাদের লাশ, আহত ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহের ভয়ংকর স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি তারা। সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

সেই রাতে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ নিয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ